এসএম রুবেল সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কল্যানপুর এলাকায় তীব্র টানা বৃষ্টির কারণে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন শতাধিক পরিবার । নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত এই মানুষগুলো তাদের বহুকালের ভিটামাটি বাড়িঘর ও জমিজমা হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন তারা। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ টি বাড়ি নদীর গর্ভে যেতে শুরু করেছে। তবে এখনই স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ ও ভয়াবহ অবস্থার রূপ ধারণ করতে পারে যা দেখা যায় সরেজমিনে গিয়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের কল্যাণপুর এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে প্রায় ১ হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ তাদের বসতবাড়ির ভিটামাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং অনেকেই অন্য এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য অবশিষ্ট ভিটামাটি ছাড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: সাহেব আলি জানান, আমরা হাতেখাটি পেটে খায় বাপদাদার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ছিলো এই ঘর টকুই কিন্তু টানা তীব্র বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ঘরবাড়ি সব ভেঙ্গে নদীর গর্ভে ভেসে যাচ্ছে। আমরা এখন কি করবো কোথায় থাকবো, কে আশ্রয় দিবে? একই গ্রামের বাসিন্দা নদী ভাঙনে ভিটামাটি বিলীন হওয়া যাওয়া কয়েকজন জানান, কয়েকদিনের ভাঙনে সব বিলীন হয়ে গেছে। বাড়ি-ঘর, জমিগুলাও ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত সরকারি কেনো লোকজনের দেখা পাওয়া যায়নি। ভেঙে যাচ্ছে আমরা গ্রামবাসী মিলে এই এলাকায় ড্রেনেজ নিষ্কাশন না থাকায় রোধ করতে মাঠঘাট, থেকে গাছ, বাঁশ ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও কার্যকর কোনো পরিদর্শন তো দূরের কথা দৃশ্যমান পদক্ষেপ কোন প্রকার নেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ এখন চরম বিপাকে, দিশেহারা, বাঁচতে চাই তারা কে বাঁচাবে তাদের ঘরবাড়ি কোথায় যাবে তারা? স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা আজ কোথায় গেলে মিলবে তাদের আঁকড়ে ধরা পূর্বপুরুষ বাপ-দাদার ভিটামাটির রেখে যাওয়া সম্পদ।? স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে কাঁন্নার জোড়া হাত নিয়ে জোর দাবি জানান নদী ভাঙ্গনে শতাধিক ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।