মুহা. জহিরুল ইসলাম অসীম, জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোণাঃ
নেত্রকোনার মদন-ফতেপুর সড়ক খুঁড়ে ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ের ২ মাস সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ বাস্তবায়ন করেনি চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ইউনূস এন্ড ব্রার্দাস নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বার বার চিঠি দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। এতে ওই সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মদন উপজেলার কার্যালয়ের সূত্র জানায়, মদন-ফতেপুর ১৪ কিলোমিটার সড়ক পৌর সদরের সঙ্গে তিনটি ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে।
মদন সদর ইউনিয়ন, তিয়শ্রী ইউনিয়ন ও ফতেপুর ইউনিয়ন। তিনটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের লোকজন এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু বিকল্প কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিনই বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন লোকজন। সময় নষ্টের পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।
এ দিকে ওই সড়কের পৌর সদর থেকে ৩ কিলোমিটারের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। কাজটি বাস্তবায়ন করছে চট্রগ্রামের মোহাম্মদ ইউনূস এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নির্মান কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রায় ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। কাজটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে শুরু করে ৩০ জুন শেষ করার কথা ছিল।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ২ মাস অতিবাহিত হলেও কাজ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে পৌরসভার অংশের প্রায় ১৫০ মিটার কাজ করে বাকী সড়ক খুঁড়ে ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে। সময় মতো কাজ বাস্তবায়ন না করায় সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় লোকজন।
ওই সড়কে যাতায়াতকারী, আব্দুল্লাহ, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, ‘২ বছর ধরে মদন-ফতেপুর সড়কটির বেহাল অবস্থা। গর্তে এবং খানাখন্দে ভরা। সড়কের কিছু অংশের কাজ শুরু করা হলেও তা আর শেষ করা হয়নি। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর। আমরা চাই কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হউক।’
জানতে চাইলে ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শামীম জানান,‘ নানা সমস্যা এবং পাথর সংকটের কারণে কাজটি কিছুদিন বন্ধ ছিল। আগামী সপ্তাহ থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।’
এ ব্যাপারে মদন উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শাহাদত হোসেন জানান, ‘মদন-ফতেপুর সড়কটির বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। ৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার কাজ বাস্তবায়ন করছেন না। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।

