শাফিউল ইসলাম শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর থানার হেফাজত থেকে চুরি ও মাদকসহ ৩টি মামলার আসামি রাব্বি মিয়া (২৭) পালিয়ে যাওয়ার পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৩ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বাজার এলাকায় তার খালার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আবার শেরপুর থানা-পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামির শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর কলোনি গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, রাব্বি মিয়া একজন দুর্ধর্ষ চোর। তার বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকসহ ৩টি মামলা রয়েছে। গত ২৯ জুলাই ভবানীপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে সংঘটিত চুরির ঘটনায় রাব্বি মিয়াকে গত শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে রাখা হয় থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের একটি কক্ষে। সকাল সাতটার দিকে রাব্বি বাথরুমে যাওয়ার কথা বললে কর্তব্যরত কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম তাঁকে বাইরে নিয়ে যান। এ সময় রাব্বি হঠাৎ পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এএসআই এরশাদ হোসাইন ও কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বগুড়ার পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
রাব্বি পালিয়ে যাওয়ার পর শেরপুর থানা পুলিশের এসআই সাইফ, এসআই রকিব, এসআই বিকাশ, এসআই শুব্রত, সঙ্গীয় ফোর্স একটি বিশেষ অভিযান চালায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার ভোরে সলঙ্গা এলাকায় রাব্বির খালার বাড়ি হতে তাকে গ্রেপ্তার করতে সম্ভব হয়েছে। শেরপুর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে অবহেলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থানার হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় রাব্বি মিয়ার বিরুদ্ধে নতুন মামলা করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, পালিয়ে চাওয়া রাব্বির বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকসহ ৩টি মামলা রয়েছে। এখন সে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।