এমরান আলী বাবু,

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের -২ (নাচোল, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর) এই ৩ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সাধারন সম্পাদক ও রহনপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র তারিক আহম্মদের মোটরসাইকেল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর ) গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের খোয়াড় মোড় থেকে নির্বাচনী শোডাউন শুরু হয়। শত শত মোটরসাইকেলের এই শোডাউনে একটি পিকাবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে নেতৃত্ব দেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তারিক আহম্মেদ।

মোটরসাইকেলের এই বিশাল বহর গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকা এবং ভোলাহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ এ দুই উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ ও পথসভায় ভোটার-সমর্থকদের সাথে মিলিত হয়ে ভোলাহাট উপজেলার
ফুটানি বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোডাউনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং এর অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সমর্থক ফেস্টুন,ব্যানার, ধানের শীষ ও দলীয় পতাকা নিয়ে অংশ নেন। মোটরসাইকেল শোডাউন চলাকালে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে নারী ও পুরুষেরা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। তারিক আহম্মেদও তাদেরকে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান।

শোডাউনে নেতা-কর্মীর মুখে ‘তারিক ভাই ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, দাবি মোদের একটাই তারিক ভাইকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই, যাবো গো যাবো গো তারিক ভাইয়ের হাত ধরে সংসদে যাবো গো এই স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শোডাউন পরবর্তী সমাবেশে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তারিক আহম্মেদ বলেন, দলের দুঃসময়ে এ অঞ্চলের নেতা কর্মীদের পাশে থেকে কাজ করেছি, বিগত আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসনামলে হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। পাশাপাশি আমাকে করতে হয়েছে কারাবরণ । তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে ও সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে দল আমাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবেন বলে প্রত্যাশা রাখি।

জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখছে, তাই চাঁদাবাজ লুটতরাজকারীদের বিএনপিতে কোনক্রমেই ঠাঁই হবেনা জানিয়ে তারিক আহম্মেদ আরো বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা সর্বস্তারের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে । আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

এতে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য। এমনকি স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতেও ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।