মোঃ মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী প্রতিনিধি
র্যাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ছিনতাইকারী এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইং ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত্রী-০০.১৫ ঘটিকায় শরিয়তপুর জেলার পালং থানাধীন মধ্য পালং নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী গোদাগাড়ীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোঃ ইমরান (২৬), পিতা-মোঃ আনারুল ইসলাম, সাং- হরিশংকরপুর, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহীকে গ্রেফতার করে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ০৬ মাস পূর্বে ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমকে তালাক দিলে সে তারপর থেকে প্রাণ কোম্পানীতে চাকুরী করে আসছিল। বিবাদীর বসতবাড়ী ভিকটিমের মায়ের বসতবাড়ীর কাছাকাছি হওয়ায় বিভিন্ন সময় ভিকটিমের বাড়ীতে যাওয়া আসার মাধ্যমে কথা-বার্তা হত। কথা-বার্তার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথাবার্তা হত।
ইং-২২-০৭-২০২৫ তারিখ ভিকটিম বিবাদীর চাচার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে এবং ইং ০২-০৮-২০২৫ তারিখ রাত্রী আনুমানিক-২১.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল গোদাগাড়ী থানাধীন মাটিকাটা ইউপির হরিশংরপুর গ্রামস্থ উক্ত ভাড়া বাসায় উক্ত বিবাদী ভিকটিমের রুমে প্রবেশ করে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় ধর্ষক মোঃ ইমরান (২৬) এর নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব উক্ত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। অদ্য ০১/০৯/২০২৫ তারিখ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী ও র্যাব-৮, সিপিসি-২, মাদারীপুর এর একটি যৌথ আভিযানিক দল তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনপত্রের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে শরিয়তপুর জেলার পালং থানাধীন মধ্য পালং নামক এলাকা হতে উক্ত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।